রাকিবুল হাসান,মনপুরা প্রতিনিধি: মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরে থাকব। আর আমাদের কোন কষ্ট হবেনা। অগে খুব কষ্টে ছিলাম। বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে খুব কষ্ট করেছি। এখন খুব আরামে থাকব। ঘর পেয়ে আমরা খুব খুশি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা নামাজ পড়ে দোয়া করব শেখ হাসিনা আপার জন্য । আমাগোরে বিনা পয়সায় সুন্দর ঘর করে দিছেন থাকার জন্য। এখন আমাদের কোন চিন্তা নাই । আমরা ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আরাম আয়াশে থাকতে পারবো। উপজেলা অডিটোরিয়ামে গৃহহীনদের মাঝে ঘর ও জমির কাগজপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার(ঘর) পাওয়া ৭০ ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২১জুলাই) উপজেলা অডিটোরিয়ামে মুজববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার (ঘর) জমির কাগজপত্র
হাতে পেয়ে খুব খুশি গৃহহীন ভুমিহীন পরিবারের লোকজন। প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহহীনদের মাঝে উপহারের(ঘর) হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপকার ভোগীদের মধ্যে উদ্ভোধনের পর পরেই উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রকৃত ভুমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ৭০টি ঘর হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসন।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার(ঘর) ও জমির কাগজপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প
বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াছ মিয়া, মনপুরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ সাঈদ আহম্মেদ,
হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নিজামউদ্দিন হাওলাদার, প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আলমগীর
হোসেনসহ উপজেলা বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী দাপ্তরিক প্রধানগন, বিভিন্ন শিক্ষা প্যতিষ্ঠান প্রধান,
সাংবাদিক ,জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার চরজংলাখাল সংলগ্ন খাস জমিতে ঘর পেয়ে খুব খুশি ফাতেমা বেগম (২৫)। মা,বাবা ও
স্মামী নেই ফাতেমা বেগমের। এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে থাকতেন অন্যের বাড়ীতে ঝুপড়ি ঘর উঠিয়ে। ঘর বরাদ্ধ পেয়ে চোখে মুখে খুশির ঝিলিক দেখা যায়। জানতে চাইলে দুহাত উঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেন। বলেন অন্যের বাড়ীতে কাজ করে জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছেন ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে। টাকা পয়সার অভাবে ঘর করতে পারিনি। বর্ষা ও শীতে অনেক কষ্ট করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে থাকব আর কষ্ট হবেনা।

সোনারচর ওয়ার্ডে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুব খুশি ৬০ বছর বয়সী নিলুফা বেগম।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে আনন্দিত। চোখে মুখে শুধু হাসির ঝিলিক। ঘর পেয়ে আবেগ আপ্লুত কান্না
জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার কেউ নেই। সরকার আমাকে একটা ঘর দিয়েছে। আমি নামাজ পড়ে দোয়া করি। এখন আমার কোন চিন্তা নাই। শেখ হাসিনার প্রতি আমরা খুশি।

মুজিবর্ষ উপলক্ষে প্রধান মন্ত্রীর উপহার হিসেবে ভোলার মনপুরায় আশ্রয়ন -২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত
সর্বমোট ৪৬০টি ভূমিহীন ও গৃহহীণ পরিবারের জন্য নির্মিত হয়েছে সেমি-পাকা টিনের ঘর । প্রধানমন্ত্রীর
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সরকারী খাস জমিতে এসব ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর
উপহার নির্মানাধীন ঘরগুলো ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে বিনা মূল্যে বিতরন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার (ঘর) পেয়ে বসবাস করছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াছ মিয়া জানান, প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতাংশ খাস
জমি বরাদ্ধ দিয়ে ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর ও জমির
কাগজপত্র হস্তান্তর উদ্ভোধন অনুষ্ঠান শেষে উপকার ভোগীদের মাঝে ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করা
হয়েছে।

এব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল
নোমান বলেন, প্রধানমুন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মানের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতি পরিবারের জন্য ২ শতাংশ খাস
জমির কবুলত রেজিঃ করে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগীদের মধ্যে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ তৃতীয় ধাপের ৭০টি প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন থেকে বরাদ্ধপ্রাপ্ত উপকারভোগীরা ঘরে বসবাস করতে পারবেন।